দক্ষিণ সুদানে একজন বয়স্ক নারীর ওপর আক্রমণের অভিযোগ ছিল ভেড়াটির। এ জন্য আটক করা হয় তাকে। পরে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এবং হত্যার অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হত্যার অভিযোগে এখন ভেড়াটি আদালতের আদেশে সাজা ভোগ করছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত সপ্তাহে, আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ গত শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দক্ষিণ সুদানের লেকস রাজ্যের রামবেক শহরে গত সপ্তাহে একজন বয়স্ক নারী খুন হন। তবে তাঁর নাম-পরিচয় জানানো হয়নি।
অভিযোগ ওঠে, একটি ভেড়া ওই নারীর ওপর আক্রমণ করেছিল। পরে ভেড়াটি শিং দিয়ে ওই নারীকে উপর্যুপরি আঘাত করে। মৃত্যু হওয়ার আগপর্যন্ত তাঁকে আঘাত করতেই থাকে। এ ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়লে রামবেক শহরের পুলিশ গিয়ে ভেড়াটিকে আটক করে নিয়ে আসে।
ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনাটি শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়ায়। সুদানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সুদান টুডের বরাতে গালফ নিউজ–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার স্থানীয় একটি আদালত ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় রায় দেন। এতে বলা হয়, পুলিশের কাছে আটক থাকা ভেড়াটির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ জন্য ভেড়াটিকে তিন বছর কারাগারে কাটাতে হবে।
শুধু তা–ই নয়, নিহত ওই নারীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ জন্য ভেড়ার মালিককে ওই পরিবারকে পাঁচটি গরু দিতে হবে। আদালতের নির্দেশে ভেড়ার কারাদণ্ডের বিষয়টি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশে প্রাণী হত্যার অপরাধে মানুষের সাজা পাওয়ার ঘটনা আগেও শোনা গেছে। তবে মানুষকে হত্যার অভিযোগে প্রাণীর সাজা পাওয়ার ঘটনা বিশ্বেবিরল। এর আগে এরকম ঘটনা বিশ্বে খুব কমেই ঘটেছে।
এদিকে দক্ষিণ সুদানের আদালত জানিয়েছে, প্রচলিত আইনের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত ভেড়াটিকে কারাদণ্ড দেওয়া এবং সেটির মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। লেকস রাজ্যের আইনে পশুর হাতে মানুষ খুন হলে এমন সাজা ও মালিককে জরিমানার বিধান রয়েছে।